বৃষ্টির পানি নির্ভর আউশ ধানের আবাদ বাড়াতে বিনা’র মাঠ দিবস
- আপলোড সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০৯:০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০৯:৪৭:২৭ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার :: বিনা সুনামগঞ্জ উপকেন্দ্রের সহযোগিতায় বৃষ্টির পানি নির্ভর করে সিলেট অঞ্চলে আউশ ধানের আবাদ বাড়াতে প্রয়োগিক মাঠ পরীক্ষণ মূল্যায়নের জন্য স্বল্পজীবনকালীন ও খরা সহিষ্ণু বিনাধান-১৯ এবং বিনাধান-২১ চাষাবাদ করা হয়েছে। জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মৌয়াকুড়া গ্রামে এই জাতের ধানের চাষাবাদ করা হয়। এই জাতের আউশ ধান আবাদে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহী করতে গত সোমবার বিকেলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মৌয়াকুড়া গ্রামের কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে মাঠ দিবস করা হয়েছে। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার ও উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। এছাড়াও মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও বিনা সুনামগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান মানিক। মৌয়াকুড়া গ্রামের কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ রেজুয়ান। অনুষ্ঠানে মৌয়াকুড়া গ্রামের শতাধিক কৃষক ও কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। কৃষক মোহাম্মদ রেজুয়ান বলেন, আগে এই জমি আগাম সবজি চাষের জন্য আমরা সাধারণত পতিত রাখতাম। এবছর বিনার বিজ্ঞানীগণের পরামর্শ ও সহযোগিতায় আউশ ধান চাষ করেছি। ৯৭ দিনে ধান কাটতে পেরেছি, ধানের ফলনও ভালই হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৫-১৬ মন ধান হয়েছে। মাঠ দিবসে বিনা ও কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, আউশ ধান বৃষ্টিনির্ভর, উৎপাদন খরচ কম ও স্বল্পমেয়াদি। একসময় প্রধান ফসল ছিল আউশ ও আমন ধান। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আউশ ধানের আবাদ কমছে। তাই স্বল্পজীবনকালীন ও খরা সহিষ্ণু আউশ বিনাধান-১৯ এবং আউশ বিনাধান-২১ চাষাবাদের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে বিনাধান-১৯ এবং বিনাধান-২১ এর প্রায় দুই হাজার কেজি বীজ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ ও বিভিন্ন উপজেলায় প্রদর্শনী করা হয়েছে। কৃষকরা এই জাতের ধান চাষাবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ