সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাঙ্গুয়ার ‘দম যায় যায়’ অবস্থা দলগুলোর মতানৈক্য : মাঠে গড়াচ্ছে রাজনীতি পূর্ব ও পশ্চিম নতুনপাড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি শিশুশ্রম মুক্ত আদর্শ সুনামগঞ্জ পৌরসভা ঘোষণা বিষয়ে সভা দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয় পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর ‘ফুল স্পিডে’ চলছে সংসদ নির্বাচনের কেনাকাটা ভূমিকম্পে তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ১০ স্থানে ফাটল সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্ব হস্থান্তর ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই
বিপন্ন জীববৈচিত্র্য, জীবন-জীবিকা, দেখার কেউ নেই

টাঙ্গুয়ার ‘দম যায় যায়’ অবস্থা

  • আপলোড সময় : ১৭-০৯-২০২৫ ০৮:১৮:০৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৯-২০২৫ ০১:১০:৪৮ অপরাহ্ন
টাঙ্গুয়ার ‘দম যায় যায়’ অবস্থা
বিশ্বজিত রায় মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ, টাঙ্গুয়া থেকে ফিরে ::
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়া। মিঠাপানির উন্মুক্ত সায়র। বর্ষার অথৈ হাওরে সব সৌন্দর্য ঢেলে দিয়ে শান্তশিরে দাঁড়িয়ে আছে উত্তরের মেঘালয়। পাহাড়ী নীলিমায় মোহনীয় হাওরটি হারিয়েছে রূপ-গুণের সকল অনুষঙ্গই। খোলা আকাশ, পাহাড়, প্রাণপ্রকৃতির মিশেলে গর্বিত টাঙ্গুয়া ভুলে গেছে ‘নয় কুড়ি কান্দা, ছয় কুড়ি বিল’র সুখস্মৃতি।
দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা শুধু ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ। এখানকার জীববৈচিত্র্য, জীবন-জীবিকা সংকটে পড়লেও এ নিয়ে কারও দায় নেই। অবারিত পর্যটন ও মানুষের অবাঞ্ছিত কর্মকান্ড কুঁড়ে খাচ্ছে মিঠা পানির বৃহত্তম ওই জলাভূমিকে। সম্পদ-সৌন্দর্যে সমৃদ্ধশালী টাঙ্গুয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও দায়িত্বশীলদের দায়সারা দায়িত্ব পালনের অভিযোগ আছে স্থানীয় ও পরিবেশ সচেতন মানুষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্বাক টাঙ্গুয়া হাওরের চারদিক থেকে ধেয়ে আসছে ইঞ্জিনের বিকট শব্দ। তার সাথে পর্যটকের হৈহুল্লোর। আছে পানিতে লাফিয়ে পড়ার উন্মাদনা। এতে করে ওয়াচ টাওয়ার ও তার চারপাশের জলমগ্ন পরিবেশে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের কাছের গাছগুলোতে যদিও হাউস বোট নেই। তবে ধারেকাছে গোলাবাড়ি, জয়পুর গ্রামসংলগ্ন এলাকাসহ গোটা হাওরেই বিচরণ করছে পর্যটকবাহী হাউস বোট। হাওরে চলতে গিয়ে ছোট-বড় প্রায় চার শতাধিক ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়মের তোয়াক্কা করছে না।
টাঙ্গুয়া তীরবর্তী গোলাবাড়ি গ্রামের ‘হাওর বিলাস রিসোর্ট’র স্বত্বাধিকারী মো. খসরুল আলম বলেন, প্রশাসন হাউস বোট ওয়াচ টাওয়ার থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও কোন লাভ হয়নি। এগুলো একটু দূরে গিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন করেই চলছে। ইঞ্জিনের নৌকা ছোট-বড় দুইটাই হাওরের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইঞ্জিনের শব্দ, ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র প্রকৃতি-পরিবেশ নষ্ট করতাছে। প্রশাসনের ভূমিকাও অনেকটা ঢিলেঢালা। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। টাঙ্গুয়ার পানিতে ভাসতে দেখা গেছে, প্লাস্টিক বর্জ্য, তেল-মবিলসহ দূষণের যত অনুষঙ্গ। হাওরের কোথাও বক, ঈগল, চিল, পানকৌড়ি, মাছরাঙার মতো পরিচিত জলজ পাখির দেখা নেই। সবকিছু মিলে টাঙ্গুয়া পুরোপুরি অভিভাবকহীন অবস্থায় আছে।
এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় ফেরিওয়ালা মো. রাজা মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, হাউসবোটের ইঞ্জিনের শব্দে কানপাতা দায়। এই জবরদখল হাওরের আর সহ্য হইতাছে না। টাঙ্গুয়ায় এখন মাছ নাই, পাইক্ষা নাই, কিচ্ছু নাই। আগে কেমন ছিল, এমন প্রশ্নে ওই যুবক বলেন, মাছ, পাখি, গাছপালা, বন সবকিছুই আছিল। হাওরে এখন দেশীয় প্রজাতির কোন মাছই পাওয়া যায় না। আগে রাতে পাখির আনোগোনার শব্দে ঘুম হইতো না। এখন দিনের বেলায়ও পাখি দেখা যায় না। নৌকা থেকে আঙ্গুল দিয়ে করচ গাছ কাটার ক্ষত দেখিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, গাছগাছালি, বনজঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের আধারকে গলা টিপে হত্যা করা হইতাছে। মনে হয় এই হাওরের মালিক-কর্মচারী কেউই নাই।
মেঘালয় পাহাড়ের কুলঘেঁষা টাঙ্গুয়া সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত। ১৮ মৌজার ৫১টি হাওর, ৫৪টি ছোট-বড় বিলের সমন্বয়ে হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ২৮০২ দশমিক ৩৬ হেক্টর জমাভূমি রয়েছে। টাঙ্গুয়ার তীর ও অভ্যন্তরে ৮৮টি গ্রাম আছে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এ হাওরকে কেন্দ্র করেই। গোলাবাড়ি গ্রামের মো. খসরুল আলমের ক্ষোভ, বিলাসবহুল হাউসবোট ও পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু জীববৈচিত্র্য, জীবন-জীবিকা দুইটারই ক্ষতি হইতাছে। আগে পর্যটকের থাকা-খাওয়ায় স্থানীয়দের আয়-রোজগার আছিল। এখন এই আয় আর নাই। টাঙ্গুয়ায় মিঠা পানির প্রাণহীন আর্তনাদ বর্ষায় টাঙ্গুয়া মিঠা পানিতে টইটুম্বুর থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এই হাওরের বিলগুলো ‘কান্দা’ (স্থানীয় ভাষায় পাড়কে ‘কান্দা’ বলে) পরিবেষ্টিত হয়ে পড়ে। বিলগুলোতে হরেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি বিচরণ করে। আর শুকিয়ে যাওয়া অংশে কৃষক রবিশস্য ও বোরো ধান ফলায়।
১৯৯৯ সালে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছরের ইজারা প্রথা বাতিলের মধ্য দিয়ে টাঙ্গুয়াকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এবং ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে ‘রামসার সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০১ সালে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। এরপর ২০০৩ সালে জেলা প্রশাসন এর নিয়ন্ত্রণ নিলেও কার্যত কোন লাভ হয়নি হাওরের। হাওর ব্যবস্থাপনায় একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) পরিচালিত সমাজভিত্তিক টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা খরচ করা হলেও সম্পদ রক্ষার কোন কাজই বাস্তবায়ন হয়নি। দিনে দিনে টাঙ্গুয়ায় শুধু পর্যটনের সুযোগ-সুবিধা অবারিত হয়েছে। বিপরীতে জীববৈচিত্র্যের বেঁচেবত্তে থাকাটা হয়েছে হুমকির সম্মুখীন।
সুন্দরবনের পর প্রাণবৈচিত্র্যসমৃদ্ধ মিঠাপানির জলাভূমি হিসেবে রামসার স্বীকৃত টাঙ্গুয়া সুরক্ষিত ব্যবস্থাপনার অভাবে পুরোদস্তুর অভিভাবকহীন বলছেন পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে হাওর গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, বর্ষায় হাওরে ইঞ্জিচালিত নৌকা চলাচলের ফলে নানাভাবে পানি দূষিত হচ্ছে। এতে হাওরের প্রাণ ভেজিটেশন (উদ্ভিদ) নষ্ট হচ্ছে। এটা মাছ, পাখি উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। হেমন্তে এই হাওরে গোচারণ, হাঁস পালন, লীজ নিয়ে দখল, গাছপালা উজাড়, পানি কম থাকা, শিকারীদের উৎপাত সবকিছুই পাখি কমার জন্য দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার তদারকিতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু জায়গায় এ রকম পর্যটনের সুযোগ আছে। তবে সেটা নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের পর্যটন, প্রশাসন, হাওর মাস্টারপ্ল্যান সবখানেই নির্দেশনা শুধু কাগজে-কলমে। কোথাও কোন নিয়মতান্ত্রিকতা নেই। সবকিছু নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। এই গবেষকের জলচর পাখি শুমারীর এ বছরের গবেষণা থেকে জানা যায়, ১৯৯২ সালের পর এ বছর সবচেয়ে কম পাখি এসেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। শীতকালে এক সময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের মতো পাখির দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি বছর পাখি এসেছে মাত্র ৩৪ প্রজাতির ২২ হাজার ৫৪৭টি।
টাঙ্গুয়া নিয়ে মত-অভিমত : এদিকে টাঙ্গুয়ায় হাউস বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন আকন্দ বলেন, প্রায় ৯৫টি হাউস বোট ও তাহিরপুর সমিতির আওতাধীন শতাধিক নৌকাসহ প্রায় ২০০ হাউস বোট সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিকতার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, এই বোটগুলো তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওর হয়ে ওয়াচ টাওয়ারের গোলাবাড়ির কিঞ্চি নদী দিয়ে টেকেরঘাটে যায়। এরপর রক্তি নদী হয়ে যাদুকাটা গিয়ে আনোয়ারপুরের লাইন দিয়ে সুনামগঞ্জ ফেরত আসে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর পড়ে না। হাওরে ঘুরতে থাকা বোটগুলো নেত্রকোণার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। সেগুলোই হাওরের ক্ষতিকর কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। সত্যিকার অর্থে টাঙ্গুয়ার উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেই। ইজারাপ্রথা বাতিলের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের পাহারা ছিল। বর্তমানে ঢিলেঢালা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাছ-পাখি শিকার থেকে পর্যটন সবকিছুতে চলছে নিষিদ্ধ কর্মকান্ড। বিশ্ব ঐতিহ্যের টাঙ্গুয়া রক্ষায় পরিকল্পিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জীববৈচিত্র্য, জীবন-জীবিকা হুমকিতে পড়বে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
হাওর এই ভূখন্ডের কিডনী উল্লেখ করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সুনামগঞ্জের সমন্বয়ক সজল কান্তি সরকার বলেন, টাঙ্গুয়ার মিঠাপানি আমাদের মূল্যবান সম্পদ। ইঞ্জিনচালিত যানের পাখা ঘুর্ণনের সাথে পেট্রোল, মবিল, তেল পানিতে গিয়ে মিশছে। যা মাছ, পাখি, উদ্ভিদসহ গোটা প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। হাওরের ক্ষতি করে হলেও পর্যটন টিকিয়ে রাখার যে মচ্ছব চলছে তাতে কিছুই থাকবে না। হাওরের জীববৈচিত্র্য, জীবন-জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে আনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এই সংগঠক। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পানিতে ফেলা বর্জ্যরে অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। এই বর্জ্য পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। যাতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জরুরী উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। জীববৈচিত্র্যের জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার তা দীর্ঘদিন ধরেই হাওরে অনুপস্থিত বলছেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্যের প্রধান উপাদান হিজল, করচ, ঝোপঝাড়, জলাবন একেবারে কমে গেছে। পাখি ও বণ্যপ্রাণীর নিরাপদ পরিবেশ রক্ষায় হাওরে বনায়ন সৃষ্টিও জরুরী। পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সবাই চায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা হোক। আবার আমরা অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনকেও উপভোগ করছি। গবেষণার মাধ্যমে সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে একটি মডেল দাঁড় করাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে পরিকল্পনা আমাদের সবসময়ই আছে। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কর্মকা- না করতে আমরা সকলকে উদ্বুদ্ধ করছি। ইঞ্জিনচালিত নৌকা টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাওরের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের সার্বক্ষণিক টহল জোরদার আছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স