সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫ , ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সড়ক নিরাপদ হবে কবে? গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তিতে গ্রাফিতি প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন দুই শিক্ষার্থী সিলেট বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের চাকা ফেটে কর্মচারী নিহত দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত জামালগঞ্জের ৬ ইউনিয়নে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘিরে সমালোচনা বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে : আনিসুল হক হাওরের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা চাই: সালেহিন চৌধুরী শুভ ১০২ এসিল্যান্ড বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সাচনা বাজারের হাসপাতাল চালুর দাবি অদম্য মেধাবী অর্পা’র স্বপ্নযাত্রা কি থেমে যাবে? গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে : প্রধান উপদেষ্টা সাগরপথে ইউরোপে যান সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের বিক্ষোভ জগন্নাথপুরে ৩ আসামি গ্রেফতার হাওরে পানি নেই, সংকটে কৃষি ও মৎস্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিভে গেল আরও এক শিক্ষার্থীর জীবন প্রদীপ খেলাধুলাই পারে মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে : কয়ছর এম আহমদ

যুদ্ধের ডাক

  • আপলোড সময় : ১১-০৯-২০২৪ ০৩:৩৯:০২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৯-২০২৪ ০৩:৩৯:০২ পূর্বাহ্ন
যুদ্ধের ডাক
মোছাঃ মাহমুদা চৌধুরী রোজী:: আট বছরের হাসি-খুশি চঞ্চল মেয়ে খুশি। অবাধে ছুটে বেড়ায় পাড়াময়। বাধাহীন গ-ীহীন নিঃসঙ্কোচ পথচলা তার। ছমির মিয়ার মেয়ে খুশিকে সবাই এক নামে চেনে। ছোট-বড় সবাই তাকে ভালোবাসে, আদর করে। কখনো ফড়িং ধরে, কখনো প্রজাপতির পেছনে ছুটে চলে; কখনোবা বাবার সাথে গরুর গাড়িতে চেপে ক্ষেতে যায়। গরুর গাড়ি চড়তে তার খুব ভালো লাগে। পরিবারে তার মা-বাবা আর দাদী। হাসি আনন্দে কাটছে তাদের দিন। হঠাৎ একদিন ছমির মিয়া স্ত্রীকে ডেকে বলল- “বউ যুদ্ধ লেগে গেছে। শুনেছি ঢাকার অবস্থা খুব খারাপ। চারদিকে সাজ সাজ রব। আমাকে ও যুদ্ধে যেতে হবে।” যুদ্ধের কথা শুনে খুশির মা ভয়ে আঁতকে উঠে। সন্ধ্যার পর সবকিছু একেবারে নীরব নিস্তব্ধ। খুশি বাবার কাছে জানতে চায় কি হয়েছে? বাবা বলেন- মা রে যুদ্ধ শুরু হইছে। স্বাধীনতার যুদ্ধ। খুশি কিছু বুঝতে পারে না। শুধু বুঝতে পারে ভয়ানক ভয়াবহ কিছু একটা হয়েছে। পরদিন ভোরবেলা ছমির মিয়া মা-কে সালাম করে যুদ্ধে চলে যায়। তারপর একদিন খুব ভোরে বিকট শব্দে খুশির মা-দাদীর ঘুম ভেঙে যায়। জেগে উঠে খুশিও। ভয়ে মাকে আঁকড়ে ধরে। গুলির শব্দ। বাইরে অনেকগুলো বুটের আওয়াজ। হঠাৎ দরজায় লাথির শব্দ। তিনজন মানুষ ভয়ে গুটিসুটি মারে। দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী। লাথি মেরে ফেলে দেয় খুশি আর তার দাদীকে। ধরে নিয়ে যায় খুশির মাকে। খুশি চিৎকার করতে চায়। দাদী মুখ চেপে ধরেন সজোরে। খুশির মাকে নিয়ে ওরা চলে যায়। খুশির জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে যায় হাসি-খুশি, চঞ্চল সোনালী দিন, নিঃশেষ হয়ে যায় সবকিছু নিমিষেই। খুশির দাদী চোখ মুছতে মুছতে খুশিকে নিয়ে অচেনা পথে পা বাড়ান। একদিন দেশ স্বাধীন হয়। রক্তের দামে বিজয় আসে। সবাই ঘরে ফিরে আসে। খুশিও দাদীর হাত ধরে বাড়ি ফিরে। ফিরে আসে না শুধু খুশির মা-বাবা। দাদী তাকে কোলে নিয়ে আদর করেন। সান্ত¡না দেন। বলেন, তোর মা-বাবা দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। তুই তাদের গর্বিত সন্তান। খুশি কি বুঝলো কে জানে। অস্ফুট স্বরে শুধু বলল- বাবা শহিদ! এই মাটি আমার মা....।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সড়ক নিরাপদ হবে কবে?

সড়ক নিরাপদ হবে কবে?