
মোহাম্মদ নূর::
"হাসিমুখে রক্তদান,হাসবে রোগী বাঁচবে প্রাণ" স্লোগানে রক্তদান ও মানব সেবায় যুগান্তকারী কর্মযজ্ঞ পালন করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী ও রক্তদানকারী সংগঠন ব্লাডলিংক-সুনামগঞ্জ।
০৩রা মে সংগঠন টির পঞ্চম বর্ষ পেরিয়ে ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করে। এ উপলক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎ জ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করে ব্লাডলিংক-সুনামগঞ্জ।
সংগঠনের এডমিন শাহ মুশাহিদ আহমেদ ফয়সালের সঞ্চালনায় ও প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন ফারুক আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: জসিম উদ্দিন শরীফি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন কামরুজ্জামান কামরুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহকারী পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) ডাঃ ননী ভূষণ তালুকদার,ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুরুজ আলী,দিগেন্দ্র বর্মন সরকারি কলেজের প্রভাষক মশিউর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান এডভোকেট, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শান্তিগঞ্জ'র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৈকত দাস,এনটিভি'র স্টাফ রিপোর্টার দেওয়ান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী,রক্তদানকারী সংগঠন হৃদপিণ্ড সিলেট'র দায়িত্বশীল এনাম আহমেদ,রক্তদানকারী সংগঠন বাঁধন'র সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ উপদেষ্টা ইমরান হোসাইন,স্বেচ্ছাসেবী ও রক্তদানকারী সংগঠন বিশ্বজন'র প্রতিষ্ঠাতা ও বৈশাখী টেলিভিশন'র স্টাফ রিপোর্টার কর্ণ বাবু দাস,সুনামগঞ্জ হেল্পলাইন'র এডমিন তমা সাঈদা,আলো সংগঠনের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ,ফেয়ার ফেইস জগন্নাথপুর'র দায়িত্বশীল আলী আকবর, ব্লাডব্যাংক জামালগঞ্জ'র দায়িত্বশীল রাহাদ আহমেদ, বন্ধু মহল'র দায়িত্বশীল ফয়সাল রানা। রক্তদাতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল হক মিলন,সিরাজুল ইসলাম পলাশ,মাওলানা আরশাদ নোমানীসহ অন্যান্য। সংগঠনটির দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন নাজমুল হাসান,জিল্লুর রহমান,এডমিন সাবিহা সুলতানা,তৈয়বুর রহমান,ইফতেখার সাজ্জাদ পিয়াল,ছাহিদ হাসান,মাজহারুল ইসলাম মডারেটর মাহমুদুল হাসান।
বিকেল ০৪ ঘটিকা হতে ০৬ ঘটিকা পর্যন্ত প্রথম পর্বের কার্যক্রম চলে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের রেজিষ্ট্রেশন শুরুর মধ্য দিয়ে সার্বিক কার্যক্রম শুরু করা হয়।প্রথম পর্বের কার্যক্রমের মধ্যে আরো ছিলো ফ্রী ব্লাডগ্রুপিং ক্যাম্পেইন,আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়,চা আড্ডা ও ফটোসেশান। দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রম শুরু হয় সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার পর।অতিথি বরণ ও কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু করা হয়।শুভেচ্ছা বক্তব্য,আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য,বিভিন্ন রক্তদানকারী সংগঠনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান,অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের কূপন লটারি,কেক কাটা ও সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাত সাড়ে দশ ঘটিকায় অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন রক্তদান কার্যক্রমে রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পরামর্শ দেন ও রোগী অভিভাবকদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ক্রসম্যাচ ব্যয় কমিয়ে আনার আশ্বাস প্রদান করেন এবং জেলার সকল রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাস্থ্য কার্ড প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান। মূমুর্ষু ও প্রসূতি রোগীদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা হতে শুরু করে বিগত পাঁচ বছরে সংগঠনটি মোট ২৫৬৭ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করে দিতে সক্ষম হয়।এছাড়াও রক্তদানে উৎসাহিত করতে গত পাঁচ বছরে ১০টি ফ্রী ব্লাডগ্রুপিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৩২২৬ জনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দেয়া হয়।২০২৪ সালে মোট চাহিদার ১৪৩৭ ব্যাগের মধ্যে ১৩০২ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করা হয়।২০২৪ সালে রক্ত সরবরাহে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে এডমিন তৈয়বুর রহমান।সরবরাহকৃত মোট রক্তের মধ্যে ৯৫০ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ হয় তার হাত ধরে।এছাড়াও ২০২৫ সালে গত চার মাসে চাহিদাকৃত ৫১৬ ব্যাগের মধ্যে ৪৬০ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করা হয়।যার মধ্যে এডমিন তৈয়বুর রহমান কর্তৃক সরবরাহের সংখ্যা ৩৬৯ ব্যাগ।
এছাড়াও ২০২২ সালে সিলেট সুনামগঞ্জের প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় জেলার বিশ্বম্ভরপুরে ৪টি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পেইনসহ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং একটি মানবতার দেয়াল স্থাপন করা হয়।২০২৪ সালে ফেনী ও মৌলভীবাজারে আকস্মিক বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম ও ঘর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
"হাসিমুখে রক্তদান,হাসবে রোগী বাঁচবে প্রাণ" স্লোগানে রক্তদান ও মানব সেবায় যুগান্তকারী কর্মযজ্ঞ পালন করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী ও রক্তদানকারী সংগঠন ব্লাডলিংক-সুনামগঞ্জ।
০৩রা মে সংগঠন টির পঞ্চম বর্ষ পেরিয়ে ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করে। এ উপলক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎ জ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করে ব্লাডলিংক-সুনামগঞ্জ।
সংগঠনের এডমিন শাহ মুশাহিদ আহমেদ ফয়সালের সঞ্চালনায় ও প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন ফারুক আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: জসিম উদ্দিন শরীফি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন কামরুজ্জামান কামরুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহকারী পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) ডাঃ ননী ভূষণ তালুকদার,ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুরুজ আলী,দিগেন্দ্র বর্মন সরকারি কলেজের প্রভাষক মশিউর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান এডভোকেট, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শান্তিগঞ্জ'র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৈকত দাস,এনটিভি'র স্টাফ রিপোর্টার দেওয়ান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী,রক্তদানকারী সংগঠন হৃদপিণ্ড সিলেট'র দায়িত্বশীল এনাম আহমেদ,রক্তদানকারী সংগঠন বাঁধন'র সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ উপদেষ্টা ইমরান হোসাইন,স্বেচ্ছাসেবী ও রক্তদানকারী সংগঠন বিশ্বজন'র প্রতিষ্ঠাতা ও বৈশাখী টেলিভিশন'র স্টাফ রিপোর্টার কর্ণ বাবু দাস,সুনামগঞ্জ হেল্পলাইন'র এডমিন তমা সাঈদা,আলো সংগঠনের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ,ফেয়ার ফেইস জগন্নাথপুর'র দায়িত্বশীল আলী আকবর, ব্লাডব্যাংক জামালগঞ্জ'র দায়িত্বশীল রাহাদ আহমেদ, বন্ধু মহল'র দায়িত্বশীল ফয়সাল রানা। রক্তদাতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল হক মিলন,সিরাজুল ইসলাম পলাশ,মাওলানা আরশাদ নোমানীসহ অন্যান্য। সংগঠনটির দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন নাজমুল হাসান,জিল্লুর রহমান,এডমিন সাবিহা সুলতানা,তৈয়বুর রহমান,ইফতেখার সাজ্জাদ পিয়াল,ছাহিদ হাসান,মাজহারুল ইসলাম মডারেটর মাহমুদুল হাসান।
বিকেল ০৪ ঘটিকা হতে ০৬ ঘটিকা পর্যন্ত প্রথম পর্বের কার্যক্রম চলে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের রেজিষ্ট্রেশন শুরুর মধ্য দিয়ে সার্বিক কার্যক্রম শুরু করা হয়।প্রথম পর্বের কার্যক্রমের মধ্যে আরো ছিলো ফ্রী ব্লাডগ্রুপিং ক্যাম্পেইন,আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়,চা আড্ডা ও ফটোসেশান। দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রম শুরু হয় সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার পর।অতিথি বরণ ও কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু করা হয়।শুভেচ্ছা বক্তব্য,আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য,বিভিন্ন রক্তদানকারী সংগঠনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান,অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের কূপন লটারি,কেক কাটা ও সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাত সাড়ে দশ ঘটিকায় অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন রক্তদান কার্যক্রমে রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পরামর্শ দেন ও রোগী অভিভাবকদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ক্রসম্যাচ ব্যয় কমিয়ে আনার আশ্বাস প্রদান করেন এবং জেলার সকল রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাস্থ্য কার্ড প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান। মূমুর্ষু ও প্রসূতি রোগীদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা হতে শুরু করে বিগত পাঁচ বছরে সংগঠনটি মোট ২৫৬৭ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করে দিতে সক্ষম হয়।এছাড়াও রক্তদানে উৎসাহিত করতে গত পাঁচ বছরে ১০টি ফ্রী ব্লাডগ্রুপিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৩২২৬ জনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দেয়া হয়।২০২৪ সালে মোট চাহিদার ১৪৩৭ ব্যাগের মধ্যে ১৩০২ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করা হয়।২০২৪ সালে রক্ত সরবরাহে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে এডমিন তৈয়বুর রহমান।সরবরাহকৃত মোট রক্তের মধ্যে ৯৫০ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ হয় তার হাত ধরে।এছাড়াও ২০২৫ সালে গত চার মাসে চাহিদাকৃত ৫১৬ ব্যাগের মধ্যে ৪৬০ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করা হয়।যার মধ্যে এডমিন তৈয়বুর রহমান কর্তৃক সরবরাহের সংখ্যা ৩৬৯ ব্যাগ।
এছাড়াও ২০২২ সালে সিলেট সুনামগঞ্জের প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় জেলার বিশ্বম্ভরপুরে ৪টি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পেইনসহ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং একটি মানবতার দেয়াল স্থাপন করা হয়।২০২৪ সালে ফেনী ও মৌলভীবাজারে আকস্মিক বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম ও ঘর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।