
স্টাফ রিপোর্টার ::
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের আওতায় বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আব্দুল লতিফ মোল্লা। তিনি বলেন, হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় আর্মারিং ও ডিচ ফিলিং প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজে গাফিলতি আছে। এসব বিষয় নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে। হাওরের কাজের অনিয়ম তদন্তে মন্ত্রণালয় থেকে ৩ সদস্য কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির তদন্তে ঠিকাদার কিংবা প্রকৌশলীরা অনিয়মের স¤পৃক্ততা থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি কোন প্রকল্পে তদন্তে আসিনি। প্রশাসনিক কাজে এসেছি। দিরাই-শাল্লার কয়েকটি কাজ ভিজিট করেছি। ঠিকাদারকে দ্বিগুণ শ্রমিক লাগিয়ে কাজ শেষ করতে বলেছি। কিন্তু একটি পত্রিকা বলেছে আমি নাকি তদন্তে আসছি, প্রকৌশলীর পক্ষ নিয়েছি। আমি কারো পক্ষ নেইনি, বরং ঠিকাদারকে ধমকাইছি।
তিনি বলেন, কিছু গাফিলতি অবশ্যই আছে। সেটা হচ্ছে সিস্টেমের গাফিলতি। যেখানে আমার আপনার কোন হাত নেই। আবার কিছু প্রক্রিয়া আছে ঠিকাদারির প্রতি অ্যাকটিভও হতে হবে বলেও তিনি জানান।
পাউবোর নির্বাহি প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, হাওরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগ পেতে হয়। শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। সিসি ব্লকের জন্য বালু, পাথর রাখা যায় না। যোগাযোগের অভাবে সরঞ্জামাদি গন্তব্যে পৌছেনা সহজে। কাজগুলো এডিবি ফান্ডে হচ্ছে। কাজ তদারকি করছি। যেখানে অনিয়ম সেখানেই ঠিকাদারকে সংশোধন করতে বলেছি।
এদিকে সভায় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর খনন করা দরকার। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলে হাওরবাসী খুশি হবেন। এছাড়া স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে খাস জায়গা থেকে ঠিকাদাররা মাটি তুলেন। মাটি যেহেতু খাস জায়গা থেকে তোলা হয় সেহেতু মাটির বিল কর্তনের দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, হাওরে ধান ভাল হয়েছে। ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ ঠিকমত হয়েছে। আমরা আগামী শুক্রবার মসজিদে মসজিদে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করব। পিআইসির কাজের বিল বাকি রয়েছে। দ্রুত বিল ছাড় দিতে পাউবোকে পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, এসও, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ।