
স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচারমূলক’ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) ‘সচেতন নাগরিক সমাজের’ উদ্যোগে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, গত রবিবার (৪ মে) উপজেলার নুরুল আলম সাগর এবং ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম শাওনসহ কতিপয় ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিল করতে না পেরে তাদের আত্মীয় ও অনুসারীদের নিয়ে ইউএনও’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে কারেন্টের বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বাধা দেওয়া হলে তারা স্থানীয়দের উপর লাঠি দিয়ে হামলা করে। এতে একজন কলেজছাত্র আহত হন। তিনি এই নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সংঘটিত একটি হামলার পরিকল্পনাকারীরা এই অপপ্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা বলেন, ইউএনও একজন সৎ, যোগ্য ও নীতিবান কর্মকর্তা এবং তার মানবিক উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে বিশ্বম্ভরপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণ সন্তুষ্ট।
তাঁরা বলেন, একটি বিষয় আমরা যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে অত্যন্ত আশ্চর্য হলাম যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক ইমনদ্দোজা ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতার উপস্থিতিতে যাদের হাতে ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ শুকায়নি সেই আওয়ামী লীগের দোসররা সংবাদ সম্মেলন করে। এতে প্রমাণিত হয় যে, তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কখনো ছাত্র-জনতার নাম ব্যবহার করছেন, কখনো গণঅধিকার পরিষদের নাম ব্যবহার করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও ইউএনও’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
এসময় স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম, আরিফ রাব্বানী হিমেল, কয়েছ তালুকদার, সোহাঙ্গীর তালুকদার, সৈয়দ আকরাম হোসেন, গোলাপ রায়হান, জাহিদ হাসান খান, শাহরিয়ার আলম, মনির হোসেন, সুমন রেজা, রফিকুল ইসলাম মেম্বারসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকগণ।