
ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকে ইসলামপুর ইউনিয়নের ছনবাড়ী-নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে আবারো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৭ নাগরিককে পুশইন করেছে। গত বৃহ¯পতিবার ১২ জুন রাত ১টা থেকে ৩ টার মধ্যে ছনবাড়ি সীমান্ত দিয়ে নারী পুরুষ, শিশুসহ ১৭ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। পুশইনকৃতদের মধ্যে ৪ পরিবারের পুরুষ ৫ জন, নারী ৪ জন ও শিশু রয়েছে ৮ জন। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, ১৭ জন নাগরিক লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে স্থায়ীভাবেই বসবাস করে আসছিলেন। ভারতে তাদের বাড়িঘরও রয়েছে।
বৃস্পতিবার ভোরে বিএসএফ কর্তৃক পুশইন ৪ পরিবারের ১৭ নাগরিককে আটক করেছে নোয়াকোট বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি টহল টিম। আটককৃতরা হচ্ছেন লালমনিরহাট জেলার কুলিয়া ঘাটের সামসুল আলীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. আরজিনা বেগম (২৮), ছেলে মো. জাহিদ হাসান (১০), মো. জাহেদুল ইসলাম (৬) ও মেয়ে ফেরদৌসী বেগম (৪)। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি গোগারকুটি এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম (১৮) ও মো. সুজন আলী (২৫), মো. সুজন আলীর স্ত্রী ফজলে বেগম (২৩), মো. সুজন আলীর মেয়ে সুমাইয়া (৫) ও ছেলে মো. ইব্রাহিম (১৮ মাস)। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী-নাকারগঞ্জ এলাকার মো:
নূর হোসেনের ছেলে মো: মহুবর আলী (৩০), মহুবর আলীর স্ত্রী মনিরা বেগম (২২), মহুবর আলীর ছেলে মো. মীর হোসেন (০৩), মহুবর আলীর মেয়ে মোর্শেদা খাতুন (৯), কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী-গাবতলা বাজার এলাকার গোবিন্দ চন্দ্রের ছেলে মিঠুন চন্দ্র (২৪), মিঠুন চন্দ্রের স্ত্রী দীপ্তি (২২), মিঠুন চন্দ্রের মেয়ে তুলসী (২)। এ সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গত ২৮ মে আরো ১৬ জন নাগরিককে পুশ-ইন করেছিল।
নোয়াকোট বিওপির হাবিলদার মো. শফিকুল ইসলাম বিজিবি কর্তৃক ১৭ জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক ৪ পরিবারের ১৭ সদস্যকে ছাতক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ শিশু, পুরুষ ৫ জন ও নারী ৪ জন আছেন। তাঁদের সবার বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। তাঁরা অবৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে ভারতে গিয়েছিলেন।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানিয়েছেন, বিজিবি কর্তৃক আটক ১৭ জনকে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আমেরতল জাহানারা বেগম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত এই ১৭ জনকে পাঠানো হয়। এর আগে ২৮ মে একই এলাকা দিয়ে ১৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল বিএসএফ।