
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা চৌধুরী মনসুর আহমদ (৮৬) আর নেই। শনিবার সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চৌধুরী মনসুর আহমদ সুনামগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরির একটানা ২০ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শেখঘাট এলাকায় তাদের পৈতৃক বাড়ি থেকে চৌধুরী মনসুর আহমদকে অসুস্থতাজনিত কারণে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই শনিবার ৭টা ৫৬ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। ওইদিন বাদ আসর হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহে তার জানাজার নামাজ শেষে দাফন স¤পন্ন হয়েছে।
একজন ত্রিকালদর্শী ব্যক্তিত্ব চৌধুরী মনসুর আহমদ সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার পিতা প্রয়াত মৌলভী মফিজ চৌধুরী। সুনামগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি এলাকায় বসবাসকালে সিলেট অঞ্চলে পাঠাগার আন্দোলনের সূতিকাগার প্রতিষ্ঠান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ স¤পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। পাকিস্তান আমলে ছাত্র ইউনিয়েনের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। পরবর্তীতে ক্রীড়াঙ্গনে সক্রিয় হন। সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট স¤পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাবেক সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও সিলেটের অগ্রজ সাংবাদিক চৌধুরী মমতাজ আহমদের বড় ভাই চৌধুরী মনসুর আহমদের দুই ছেলের একজন চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার প্রশাসক, বড় ছেলে চৌধুরী মাহবুব আহমদ আইনজীবী। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে।
এক শোকবার্তায় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া উল্লেখ করেন, জেলার সকল সামাজিক কাজে তার ছিল উজ্জ্বল উপস্থিতি। তিনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ স¤পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট স¤পাদকের দায়িত্ব অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সুনামের সঙ্গে পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি আরও অনেক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মৃত্যুতে জেলা প্রশাসন গভীরভাবে শোকাহত।