
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ১৪ জুন শনিবার জগন্নাথপুর সদর বাজারে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী শ্যামল কান্ত গোপ এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়, জামায়াত নেতা রেজাউল করিম রিপন এবং জমিয়ত নেতা ও জগন্নাথপুর সদর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক লিটন মিয়াকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যবসায়ী শ্যামল কান্ত গোপ। এতে তিনি উল্লেখ করেন রিপন ও লিটন আমার কাছে টাকা পয়সা চায়। তাদের চাহিদামতো টাকা দিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে আমাকে হেফাজত রাখবে। এই মোতাবেক লিটন মিয়া আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। পরে গত ০৩/০৬/২০২৫ইং তারিখে তারা মাহিমা রেস্টুরেন্টে নিয়ে আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিলে আমাকে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে হেফাজত করবে। তা না হলে ডেভিল পরিচয়ে আমাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় আমি টাকা দিব বলে কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। পরে উক্ত টাকা আদায়ের লক্ষ্যে তারা আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। অবশেষে বাধ্য হয়ে আমি গত ১৩/০৬/২০২৫ইং তারিখে তাদের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর বাজার সেক্রেটারি মোশাহিদ আলী ভূইয়া, সাংবাদিক তাজ উদ্দিন আহমদ, পৌর বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ, ব্যবসায়ী সিদ্দিক আলী, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শফিকুল ইসলাম ইসলাম খেজর প্রমুখ।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আফজাল হোসাইন জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইতোমধ্যে জামায়াত থেকে রেজাউল করিম রিপনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত রেজাউল করিম রিপন জানান, কোন প্রকার চাঁদাবাজি করার প্রশ্নই আসে না। কারো প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে ব্যবসায়ী শ্যামল গোপ মিথ্যাচার করছেন। দলীয় বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি।
এদিকে, জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান জানান, লিটন মিয়া নামে আমাদের কোন সদস্য নেই।
তবে অভিযুক্ত লিটন মিয়া জানান, আমি কোন চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই। আমি আ.লীগের ষড়যন্ত্রের শিকার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সৈয়দ তালহা গ্রুপের জমিয়ত নেতা।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা জানান, পুলিশ কারো কথায় চলে না। রিপন ও লিটনের কথায় আসামি ধরা বা ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।