
স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জে মিটার না দেখে আন্দাজে আদায় করা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। শত শত গ্রাহকের এনিয়ে অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রতিমাসে মিটার রিডার গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার কথা। কিন্তু গ্রাহকরা জানান, মিটার রিডার গ্রাহকের কাছে না গিয়ে অফিসে বসে ইচ্ছে মতো বিল তৈরি করে তা গ্রাহকের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
জুন/২০২৫ইং জামালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এইসব ছোট ছোটও বিলের কাগজ যাচাই করে ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে। মিটার রিডিংয়ের সাথে বিলের কাগজের বাস্তবে কোনো মিল নেই। এভাবে বিদ্যুৎ বিল মেটাতে প্রতি মাসে বর্ধিত হারে অতিরিক্ত টাকা গুণছেন অনেক গ্রাহক।
অভিযোগকারী মাতারগাঁও গ্রামের গ্রাহকের মিটার নং-০০০৫--১৩৯৬৬৩। তিনি জানান, তার মে মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে এসেছে জুন মাসের ১৬ তারিখ। বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ১৯জুন। অথচ এই বিদ্যুৎ বিলের রেকর্ড দেখানো হয়েছে ২৬ মে ২০২৫ ইং পর্যন্ত। প্রায় ২২দিন আগে মনগড়া তৈরি বিল রেকর্ড তথ্যে ২৬ মে পর্যন্ত গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ দেখানো হয়েছে টোটাল (৪৩৮০কি.ওয়াট ঘণ্টা) ৫০ ইউনিট। কিন্তু এই রিপোর্ট (১৭ জুন) লিখা পর্যন্ত বাস্তবে ঐ গ্রাহকের মিটারে রীডিং ৪৩৩৬ কিলোওয়াট ঘণ্টা চলছে। চলতি জুন মাসেও ওই গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল ৪৩৮০ কিলোওয়াট হবে না। এই গ্রামে শতাধিক পরিবারেও একই সমস্যা। প্রতিটি গ্রাহকের ছোট ছোট বিদ্যুৎ বিলে পিলে চমকানো অসঙ্গতি রয়েছে। গ্রাহকরা না বুঝেই বিল পরিশোধ করছেন।
গ্রাম পর্যায়ের গ্রাহক মিজানুর, নুর ইসলাম, অবিদ হোসেন বলছেন, বিদ্যুৎ বিলের এতো প্যাচাইনা লেখা আমরা বুঝি না। গ্রাহক যদি না-ই বুঝে তবে এইসব লিখার দরকার কি? বিলের লেখাও অস্পষ্ট এবং দুর্বোধ্য। গ্রাহক বিলের কাগজে এসব লেখার আগামাথা কিছুই বুঝে না।
জানা গেছে, গত বৈশাখ মাস থেকে মিটার রিডারের দেখা নাই। তাদের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে পরবর্তী কার্তিক মাস পর্যন্ত ছয় মাস মিটার রিডার গ্রামে যান না। জামালগঞ্জ সদর থেকে দূরবর্তী এলাকায় মিটার রিডিং না করে ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেন। এভাবেই প্রতি মাসে হাজারো গ্রাহককে ঠকানো হচ্ছে। মনগড়া অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল বানিয়ে অতিরিক্ত হারে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।
এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি জামালগঞ্জ শাখার এজিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ইউনিট বেশি হলে সেটি আমরা দেখবো। আর ২০/৫০ ইউনিটের মধ্যে ঝামেলা হলে সেটি ব্যবহারের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। বিল নিয়ে আসলে সংশোধন করে দেবো। আর যদি বিল না দেন তবে এই রকম একটা লিখিত দেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।