প্রাথমিকে স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় সুনামগঞ্জের ৬ উপজেলা

জুলাই থেকে দুপুরের খাবার পাবে শিক্ষার্থীরা

আপলোড সময় : ২৪-০৬-২০২৫ ০৮:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৪-০৬-২০২৫ ০৮:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: আগামী জুলাই মাসে চালু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিডিং কর্মসূচি। দেশের ১৯ হাজার ৪১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির আওতায় আসছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলার শিক্ষার্থীরা রয়েছে। সুনামগঞ্জের ৬টি উপজেলা হল- বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, শাল্লা ও শান্তিগঞ্জ। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে ও ঝরে পড়া রোধে সপ্তাহের পাঁচ দিন দুপুরের খাবার দিতে সরকার এ কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। যদি কোনো কারণবশত জুলাই মাসে শুরু করা না যায় তবে আগস্ট থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। গত ২১ জুন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুটি পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসূচিটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে স্কুল চলাকালে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টিসমৃদ্ধ ফর্টিফাইড বিস্কুট, ইউএইটটি মিল্ক, বনরুটি, সিদ্ধ ডিম, কলা ও স্থানীয় মৌসুমি ফল প্রদান করা। সপ্তাহের রবিবারে বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম, সোমবার বনরুটি ও ইউএইচটি দুধ, মঙ্গলবার বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম, বুধবার ফর্টিফাইড বিস্কুট ও কলা বা স্থানীয় মৌসুমি ফল এবং বৃহস্পতিবার বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম প্রদান করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের আট বিভাগের ৬২ জেলার ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উভয় প্রকল্পের জন্য প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি তদারকি কমিটি গঠিত হবে, যারা কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে পাঁচ দিন শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা খাদ্য পাবে। শিক্ষার্থীদের একটি করে সিদ্ধ ডিম, ১২০ গ্রাম ওজনের বনরুটি, ২০০ মিলিলিটার ইউএইচটি দুধ, ৭৫ গ্রাম ওজনের একটি বিস্কুট ও ১০০ গ্রাম ওজনের একটি কলা অথবা স্থানীয় মৌসুমি ফল দেওয়া হবে। প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকায় মোট এনার্জির ২৫ দশমিক নয় শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২ দশমিক দুই শতাংশ, প্রোটিনের ১৬ দশমিক চার শতাংশ ও ফ্যাটের ২১ দশমিক ৭ শতাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করা, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি বাড়ানো, ঝরে পড়া রোধ করা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা হ্রাস ও শিক্ষায় মনোযোগ ধরে রাখা। একইসঙ্গে এটি সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের। সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, এটা আমাদের জন্য বড় সাফল্য। ছেলেমেয়েরা স্কুলে এসে এখন শুধু পড়াশোনা নয়, পুষ্টিকর খাবারও পাবে। এতে তাদের মনোযোগ ও মানসিক বিকাশে বড় পরিবর্তন আসবে।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com