
শহীদনূর আহমেদ ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের প্রধান মাছের বাজার কিচেন মার্কেটে চলছে প্রকাশ্য প্রতারণা। এখানকার একশ্রেণির অসাধু বিক্রেতারা চাষের মাছকে দেশি মাছ হিসেবে চালিয়ে দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এতে একদিকে সাধারণ ক্রেতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে প্রতারিত হচ্ছেন দেশি মাছের নামে চাষের মাছ কিনে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সরেজমিনে বাজার পরিদর্শনে দেখা যায়, দেশি মাছের নামে চাষের মাছ বিক্রি করছেন বেশ কয়েকজন বিক্রেতারা। রহিম নামের এক বিক্রেতার কাছে শিং ও মিশ্র প্রজাতির মাছ দেখতে পাওয়া যায়। রহিম দাবি করেন তার মাছ দেশী তাই তিনি ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মিশ্র মাছের থালায় বেশিরভাগ শিং মাছ থাকলেও কিছু বাইম ও কৈ মাছের উপস্থিতি দেখা যায়। শিং মাছের রং দেখে সন্দেহ হলে দেশী মাছ কি না এ বিষয়ে সত্য জানতে চাইলে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তিনি বলেন, এই মাছ বাদশা ভাইয়ের। আমি বিক্রি করে দিচ্ছি। আমরা যেখান থেকে মাছ কিনি সেখান থেকে চাষের মাছের সাথে কিছু দেশী মাছ মিশিয়ে দেয়। তাই আমরা এই মাছ দেশী মাছ বলে বিক্রি করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, “আমি চাষের মাছ বিক্রি করি। তবে অনেক ব্যবসায়ী চাষের রুই, কাতলা, পাবদা, মাগুর মাছকে দেশি বলে চালিয়ে দেন।” ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে কিছু দেশি মাছের সঙ্গে চাষের মাছ সাজিয়ে রাখা হয় বলেও জানান তিনি। প্রতারিত ক্রেতাদের একজন, শহরের বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা আদনান হোসেন বলেন, ৪৫০ টাকা কেজি দরে দেশি পাবদা কিনেছি, পরে বুঝি এটা চাষের মাছ। চাষের মাছ বিক্রি করতেই পারেন, কিন্তু দেশি বলে প্রতারণা কেন? আরেক ভুক্তভোগী মিলন মিয়া বলেন, মাছ ব্যবসায়ীরা প্রায়ই মিথ্যা বলেন। অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এ ব্যাপারে কিচেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সহিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতারণার সত্যতা দেখতে চান।
প্রতিবেদককে নিয়ে মাছ বাজার ঘুরে মাছ বিক্রিতে অসৎ পন্থা অবলম্বের সত্যতা দেখে এক ব্যবসায়ীকে গালমন্দ করেন তিনি। এসময় সহিবুর রহমান বলেন, মাছ বিক্রিতে প্রতরণা করা দÐনীয় অপরাধ। কেউ এমন কাজ করবেন না। কোনো মাছ ব্যবসায়ী যাতে প্রতারণার আশ্রয় নিতে না পারে এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হবে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের প্রধান মাছের বাজার কিচেন মার্কেটে চলছে প্রকাশ্য প্রতারণা। এখানকার একশ্রেণির অসাধু বিক্রেতারা চাষের মাছকে দেশি মাছ হিসেবে চালিয়ে দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এতে একদিকে সাধারণ ক্রেতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে প্রতারিত হচ্ছেন দেশি মাছের নামে চাষের মাছ কিনে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সরেজমিনে বাজার পরিদর্শনে দেখা যায়, দেশি মাছের নামে চাষের মাছ বিক্রি করছেন বেশ কয়েকজন বিক্রেতারা। রহিম নামের এক বিক্রেতার কাছে শিং ও মিশ্র প্রজাতির মাছ দেখতে পাওয়া যায়। রহিম দাবি করেন তার মাছ দেশী তাই তিনি ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মিশ্র মাছের থালায় বেশিরভাগ শিং মাছ থাকলেও কিছু বাইম ও কৈ মাছের উপস্থিতি দেখা যায়। শিং মাছের রং দেখে সন্দেহ হলে দেশী মাছ কি না এ বিষয়ে সত্য জানতে চাইলে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তিনি বলেন, এই মাছ বাদশা ভাইয়ের। আমি বিক্রি করে দিচ্ছি। আমরা যেখান থেকে মাছ কিনি সেখান থেকে চাষের মাছের সাথে কিছু দেশী মাছ মিশিয়ে দেয়। তাই আমরা এই মাছ দেশী মাছ বলে বিক্রি করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, “আমি চাষের মাছ বিক্রি করি। তবে অনেক ব্যবসায়ী চাষের রুই, কাতলা, পাবদা, মাগুর মাছকে দেশি বলে চালিয়ে দেন।” ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে কিছু দেশি মাছের সঙ্গে চাষের মাছ সাজিয়ে রাখা হয় বলেও জানান তিনি। প্রতারিত ক্রেতাদের একজন, শহরের বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা আদনান হোসেন বলেন, ৪৫০ টাকা কেজি দরে দেশি পাবদা কিনেছি, পরে বুঝি এটা চাষের মাছ। চাষের মাছ বিক্রি করতেই পারেন, কিন্তু দেশি বলে প্রতারণা কেন? আরেক ভুক্তভোগী মিলন মিয়া বলেন, মাছ ব্যবসায়ীরা প্রায়ই মিথ্যা বলেন। অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এ ব্যাপারে কিচেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সহিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতারণার সত্যতা দেখতে চান।
প্রতিবেদককে নিয়ে মাছ বাজার ঘুরে মাছ বিক্রিতে অসৎ পন্থা অবলম্বের সত্যতা দেখে এক ব্যবসায়ীকে গালমন্দ করেন তিনি। এসময় সহিবুর রহমান বলেন, মাছ বিক্রিতে প্রতরণা করা দÐনীয় অপরাধ। কেউ এমন কাজ করবেন না। কোনো মাছ ব্যবসায়ী যাতে প্রতারণার আশ্রয় নিতে না পারে এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হবে বলে জানান তিনি।