
স্টাফ রিপোর্টার ::
সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি, টাস্কফোর্স অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা সত্ত্বেও থামছে না চোরাচালান। চোরাকারবারিরা কৌশল পাল্টালেও বিজিবির হাতে বারবার ধরা পড়ছে বিপুল পরিমাণ পণ্য। তবুও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে- এতো তৎপরতার পরও চোরাচালান কি বন্ধ হচ্ছে?
গত ৩০ জুন গভীর রাতে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিণাপাটি গ্রামে একটি পরিত্যক্ত টিনশেড গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এ টাস্কফোর্স অভিযানে উদ্ধার হয় ৪,২৮৬ পিস ভারতীয় শাড়ি, ১৩ পিস লেহেঙ্গা, ৪,৯৯২ পিস কসমেটিকস এবং ২০,১২০ পিস চকলেট। এসব পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৫২০ টাকা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয়। বিজিবি ও পুলিশের মোট ২০ সদস্যের একটি দল অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া বলেন, ইদানীং বেশি মালামাল ধরা পড়ার অর্থ চোরাচালান বেড়েছে - তা নয়। বরং এটি বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযানিক কর্মদক্ষতার প্রতিফলন।”
তিনি আরও জানান, “সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবুও একটি সুসংগঠিত চক্র বারবার সীমান্ত ব্যবহার করে অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য দেশে আনছে। আমরা থেমে নেই - প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।”
সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুন মাসেই প্রায় ১৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৭৮ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ভারতীয় চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে এতো বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি পণ্য যেভাবে দেশের ভেতরে প্রবেশ করছে, তা রোধে শুধু বিজিবি নয়, শুল্ক বিভাগ, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সম্মিলিতভাবে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
সীমান্তজুড়ে আধুনিক প্রযুক্তির নজরদারি, স্থানীয় চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া দূর না হলে বিজিবির তৎপরতা সত্ত্বেও চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে কিনা - তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।