
স্টাফ রিপোর্টার ::
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড.খ.ম. কবিরুল ইসলাম বলেছেন, বিগত সময়ে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাকে কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই সেক্টরের সাথে বেশি বৈষম্য করা হয়েছে। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাকে অবহেলা করা ছিল আমাদের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। যদি এই দুই সেক্টরকে গুরুত্ব দেয়া হতো তাহলে আমরা তিনগুণ আয় করতে পারতাম। একজন দক্ষ শ্রমিকের শ্রমের মূল্য একজন অদক্ষ শ্রমিকের তিন গুণ। শিক্ষাক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নাই। আমার ২০৩০ সালের মধ্যে সকল শিক্ষা কার্যক্রমে ৩০ কারিগরি শিক্ষা রাখতে চাই। সেই অনুযায়ী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুফল সম্পর্কে অসচেতনতা বৃদ্ধি ও ভর্তির প্রচরণা বিষয়ক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে সেমিনারে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমামগণ অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মাদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরিচালক প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল কবির, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালিক মোহাম্মদ রিহান উদ্দিন।