
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আজ ১০ মহররম পবিত্র আশুরা। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ একটি দিন। ঐতিহাসিক নানা ঘটনার কারণে হিজরি মহররম মাসের দশম এই দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। সবশেষ ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত হোসাইনের (রা.) শাহাদাত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে শোক ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর।
ইসলামের ইতিহাস অনুসারে, হজরত হোসাইন (রা.) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে সেদিন কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন নিয়ে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা ও তার সাহাবিদের প্রবর্তিত খেলাফতি শাসনব্যবস্থা অক্ষুণœ রাখার সংগ্রামে তিনি শাহাদাতবরণ করেন।
শোকাবহ এই দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানরা নামাজ-রোজাসহ বিভিন্ন নফল ইবাদত করে থাকেন। আশুরার দিন শিয়া সম্প্রদায় তাজিয়া মিছিল বের করে থাকে। আজ সরকারি ছুটির দিন।
ইসলাম ধর্মমতে, আশুরার দিনেই আল্লাহ আরশ, কুরসি, লওহ, কলম, আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আবার প্রথম মানব আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। পরে শয়তানের প্ররোচনায় তিনি ভুল করার পরিপ্রেক্ষিতে এই দিনেই তাকে দুনিয়ায় পাঠিয়ে দেন। হজরত নূহ (আ.) ৯৫০ বছর ধরে তাওহিদের বাণী প্রচারের পর যখন সেই যুগের মানুষ আল্লাহর বিধিনিষেধ পালনে অস্বীকৃতি জানায়, তখন নেমে আসে আল্লাহর গজব। এই আশুরার দিনেই হজরত ইব্রাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনেই মুসা (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা করেন আল্লাহ।