
স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলার বারেকটিলা-ট্যাকেরঘাট সড়কে রজনী লাইন এলাকায় অবস্থিত একটি কালভার্ট এখন যেন মরণফাঁদ। কালভার্টের উপরের অংশ (টপস্ল্যাব) ভেঙে রড বেরিয়ে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থায় স্থানীয়রা লাল কাপড় টানিয়ে সতর্কতা সংকেত দিলেও প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে অনেকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে যাত্রী ও চালকরা। সংশ্লিষ্ট এলজিইডি কার্যালয় জানিয়েছে, পুরনো কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে নির্মাণকাজ আটকে আছে।
বারেকটিলা থেকে ট্যাকেরঘাট যাওয়ার পথে রজনী লাইন এলাকার চাঁনপুর এলাকায় কালভার্টটির অবস্থান। এটি শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, শিমুল বাগান, শহীদ সিরাজ লেক, মেঘালয় সীমান্তবর্তী তিনটি শুল্কবন্দর এবং ময়মনসিংহ হয়ে রাজধানীমুখী পর্যটন ও বাণিজ্যিক সড়কের অন্যতম অংশ। প্রতিদিনই শত শত মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, পিকআপ ও ভ্যান চলাচল করে এই ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দিয়ে।
স্থানীয় কড়ইগড়া গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া জানান, মেঘালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা ছড়ার ওপর বহু বছর আগে নির্মিত কালভার্টটি এখন ধ্বংসপ্রায়। আমরা প্রতিদিন মৃত্যুকে সঙ্গী করে চলাচল করছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।
অটোরিকশাচালক শাকিল মিয়া জানান, কালভার্টের ভাঙা অংশ পার হওয়ার সময় যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিতে হচ্ছে।
এদিকে বারেকটিলা উঠার সংযোগ সড়ক এবং অভ্যন্তরীণ সড়কের অবস্থাও ভয়াবহ। কোথাও সড়ক ভেঙে গেছে, কোথাও চলাচলের অনুপযোগী কাঁচা রাস্তা। বিশেষ করে বড়ছড়া থেকে বাগলী পর্যন্ত সড়ক এখনো সংস্কার না হওয়ায় সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিমুল বাগান সড়ক প্রকল্পের অংশ হিসেবেই কালভার্টটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে। সব প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু স্থানীয়রা জমি দাবি করে সড়ক নির্মাণে বাধা দেওয়ায় কাজ আটকে গেছে। না হলে এতদিনে সড়ক ও কালভার্ট দুটোই স¤পন্ন হয়ে যেত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্ত অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের উন্নয়ন বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। অবিলম্বে ভাঙা কালভার্ট ও সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।