
স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী কৃষি অফিসারকে মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শাল্লার উপজেলার মনুয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী কৃষি অফিসার। বিগত ২৫ জুন একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমাদের নামে একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমিসহ মোট ১১জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার উল্লেখিত তারিখে আমি আমার হবিগঞ্জের বাসায় ছিলাম এবং আমার ছেলে ফজলুল করিম চৌধুরী (৩০), শ্রীহাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্তব্যরত ছিল।
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা মামলায় আরও ৯জনকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলায় যে ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে আপনারা অনুসন্ধান করে দেখলে এধরনের কোনো ঘটনারই অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না। অথচ এই মিথ্যা মামলায় আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আব্দুল মান্নান এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি সাধন করে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আদালতে বিভিন্ন সময়ে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের নামে আরও ৪টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় উক্ত মামলাসমূহ থেকে আদালত আমাদেরকে বেকসুর খালাস দেন। তারপরও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা মামলাবাজের কবল থেকে রেহাই চাই।
তিনি আরও উল্লেখ্য করে বলেন, গতকাল তিনি আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেন যা হাস্যকর। আমরা এমন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাল্লা উপজেলার মনুয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে ফজলুল করিম চৌধুরী, তানভীর চৌধুরী ও চাচাতো ভাই মোহাম্মদ রেজাউল করিম।