
স্টাফ রিপোর্টার ::
কবি পপি ভৌমিকের ‘দর্পণে দেখা আলোর আকুতি’ কাব্যগ্রন্থে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডেইলি সুনামগঞ্জ.কম-এর উদ্যোগে শনিবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পরিমল কান্তি দে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ মহিবুল ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. ননী ভূষণ তালুকদার, সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খলিল রহমান, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, জসিম বুক হাউসের প্রকাশক মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেইলি সুনামগঞ্জ.কম-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রওনক বখত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. ননী ভূষণ তালুকদারের সহধর্মীণি এবং কাব্যগ্রন্থের লেখক কবি পপি ভৌমিক। তিনি বলেন, আমি মনে করি কবিতা লিখতে নিজেকে প্রস্তুত করতে অনেক পড়াশোনা এবং লেখালেখি করতে হয়। প্রথমে লিখেই গ্রন্থ প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কবিতা লিখা নিয়ে অনেক ভাবতে হয়। তাই লেখালেখি নিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। কবি পপি ভৌমিক আরও বলেন, প্রবাসে থেকেও অ্যাড. রণেন্দ্র তালুকদার পিংকু প্রেরণা দিয়েছেন এবং গ্রন্থ প্রকাশনায় সহযোগিতা করেছেন, এই জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে তিনি মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর পরিমল কান্তি দে বলেন, আমি সত্যি আনন্দিত কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে পেরে। এই কবিতা গ্রন্থে ৩৪টি কবিতা রয়েছে। তিনি বলেন, আপন ভুবনে নিয়ে মনকে কবিতা লেখা শুরু করতে হবে। কবিতা লেখা খুবই কঠিন একটি বিষয়। মনের ভাবনাকে প্রকাশ করা যায় কবিতার মাধ্যমে। তিনি বলেন, আমি মনে করি কবিতার শহর সুনামগঞ্জে কবির সংখ্যা বাড়াতে হবে। কবিতা লেখা বাড়াতে হবে। তিনি ‘দর্পণে দেখা আলোর আকুতি’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করায় কবি পপি ভৌমিকের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সংস্কৃতিকর্মী সামিনা চৌধুরী মনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন লিটন, দৈনিক শ্যামল সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক দেবব্রত রায় দিপন, জলকন্যা’র সম্পাদক প্রভাষক মশিউর রহমান, সংস্কৃতিকর্মী বিধান চন্দ্র বণিক। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন কবি মিল্লাত আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহতের শান্তি কামনায় এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।