
ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার সরিষাকান্দা ইসলামপুর বাজার থেকে শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় শাহ জামান মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ। তার বাড়ি উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের সরিষাকান্দা ইসলামপুর গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনামড়ল, চন্দ্র সোনার থাল, জয়ধনা, ধানকুনিয়া, কাইলানী, গুরমা ও রুই বিল এই সাতটি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ৭ মার্চ শেষ হয়। চলতি বছরের ২০ মে রাত অনুমান আটটা থেকে ২৮ মে অনুমান ভোর রাত সাড়ে চারটার মধ্যে রাতের আঁধারে মাছ শিকারের উদ্দেশে ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি উপজেলার জয়ধনা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৮ নম্বর প্রকল্প কাজের একটি অংশ এবং সোনামড়ল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ১৫ নম্বর প্রকল্প কাজের দুটি স্থান কেটে দেয়। এর ফলে উপজেলার মুক্তারপুর ও সরিষাকান্দা ইসলামপুর গ্রামের মধ্যবর্তী থাকা চুনাই সেতুটি ধসে পড়ে। এতে সরকারি প্রায় ১৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে গত ২ জুলাই ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে উপজেলার সরিষাকান্দা ইসলামপুর বাজার থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাতটা বেজে ১০মিনিটের সময় তাকে গ্রেপ্তার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় গত ২ জুলাই সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের সরিষাকান্দা ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ জামান মিয়াকে শনিবার সন্ধ্যা সাতটা বেজে ১০মিনিটের সময় সরিষাকান্দা ইসলামপুর বাজার থেকে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।