
বিভেদ-প্রতিহিংসার রাজনীতি আর নয়
রাজনীতিতে বিভেদ, প্রতিহিংসা এবং দমন-পীড়নের চক্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিকাশকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। অথচ রাজনীতি হওয়া উচিত জাতীয় ঐক্য, সমঝোতা এবং জনগণের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি অবলম্বন। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছে- “বিভেদ-প্রতিহিংসার রাজনীতি আর নয়”।
রাজধানীর শাহবাগে গত রবিবার অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুধু দলীয় বক্তব্য নয়; এটি আমাদের রাজনীতির জন্য একটি কাক্সিক্ষত মূল্যবোধের ইঙ্গিত বহন করে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ছাত্রদলসহ বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীর হতাহতের প্রসঙ্গ তিনি তুলে ধরেছেন বটে, কিন্তু তা প্রতিশোধের আহ্বান নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি সহিষ্ণু, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইঙ্গিত।
তিনি পরবর্তী প্রজন্মকে “ভবিষ্যতের বাংলাদেশ” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং ফ্যাসিবাদমুক্ত, অধিকারভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তরুণদের ভূমিকার প্রতি আস্থা রেখেছেন। এই বক্তব্যে ক্ষমতা নয়, বরং আদর্শ ও গুণগত রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান ছিল স্পষ্ট।
আমরা দেখতে পাই, দেশের জনগণ এখন রাজনীতিতে নতুন ধরনের নেতৃত্ব, কর্মসূচি ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করে। দলীয় সংঘর্ষ নয়, বরং কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু, সাম্প্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানবিক উন্নয়ন নিয়ে দায়িত্বশীল রাজনীতি আজকের প্রেক্ষাপটে জরুরি হয়ে পড়েছে। তরুণদের রাজনীতিতে স¤পৃক্ত করা ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সহনশীলতা ও গঠনমূলক রাজনীতির চর্চা করা।
তারেক রহমানের এই বক্তব্য যদি কথায় না থেমে দলীয় ও জাতীয় রাজনৈতিক আচরণে প্রতিফলিত হয়, তাহলে সেটি হবে রাজনীতির জন্য এক আশাব্যঞ্জক মোড়। আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল বিভেদ-প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে একটি গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে একযোগে কাজ করবে।