
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
এলাকাবাসী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানাযায়, গত ১১ আগস্ট সোমবার বিকালে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজারের বটতলায় ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি করার জন্য সভা আহবান করা হয়। এ সময় কমিটির পদ নিয়ে আমিরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। উক্ত মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় লক্ষ্মীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উভয়পক্ষের ৪ শত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অর্ধ শতাধিক আহত হয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে জামালগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন, এসআই পঙ্কজ ঘোষ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নাজিম উদ্দীন বলেন, কমিটির নাম প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিনের মধ্যে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে মারামারি হয়। পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখি। মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপির সাথে আমাদের মিটিং চলাকালীন আবারো মারামারির খবর পাই। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে পৌছি।
সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো. বশির আহমদ বলেন, এবিষয়ে উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ কিছুক্ষণের মধ্যে বসবো। পরবর্তীতে আপনাদেরকে জানানো হবে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার জানান, আমি কমিটি গঠনের সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। নাম প্রস্তাব নিয়ে আমিরুল ইসলাম ওমির ও আব্দুল মতিনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ আমি তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে আবারো উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শফিকুর রহমান বলেন, মারামারির খবর শুনে উপজেলার নেতৃবৃন্দ সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। উপজেলা কমিটি মারামারির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অপচেষ্টায় কেউ লিপ্ত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শরিয়ত উল্লাহ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহত ৩৫ জনকে জামালগঞ্জ হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক জামালগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।