খাসিয়ামারা নদীতে ড্রেজারের দৌরাত্ম্য বন্ধে আরো কঠোর হতে হবে

আপলোড সময় : ৩১-০৮-২০২৫ ০৮:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ৩১-০৮-২০২৫ ০৮:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন
দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা নদীতে জেলা প্রশাসকের সরাসরি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফের ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ঘটনা উদ্বেগজনক। জেলা প্রশাসক নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও একদিনের মাথায় আবারও অবৈধ কার্যক্রম চালু হয়ে যাওয়া প্রশাসনিক নির্দেশনার প্রতি প্রকাশ্য অমান্যতা এবং আইনের শাসনের প্রতি চরম অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। এমন অবৈধ ড্রেজার চালনার ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, তীর ভাঙন বেড়ে যাচ্ছে, কৃষিজমি ও বসতভিটা ধ্বংসের মুখে পড়ছে। পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও স্থানীয় জনজীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়লেও ইজারাদার ও প্রভাবশালী মহলের দাপটে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। প্রতিবাদ করলেই হুমকি-ধমকি ও মারধরের ঘটনা স্থানীয়দের আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এখানে দুটি বিষয় বিশেষভাবে দৃষ্টিগোচর - প্রথমত, প্রশাসনের ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না হওয়া; দ্বিতীয়ত, অবৈধ কার্যক্রম চালাতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ থাকা। যদি এভাবেই প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষিত হয়, তবে আইনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে এবং অপরাধীদের দৌরাত্ম্য আরও বাড়বে। আমরা মনে করি, কেবল পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা যথেষ্ট নয়। অবৈধ ড্রেজার মেশিন জব্দ ও ধ্বংস করতে হবে, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্থানীয়ভাবে একটি স্থায়ী নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নদী রক্ষা শুধু পরিবেশ নয়, জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। তাই খাসিয়ামারা নদীসহ দেশের প্রতিটি নদীকে অবৈধ ড্রেজার ও বালু মাফিয়াদের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা, স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং কঠোর আইনি প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com