
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। খানাখন্দে ভরপুর এ সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় হাজারো মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়কের ৪ কিলোমিটার রাস্তার একাধিক স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই সেই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়, ফলে যানবাহন চলাচল হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ। পণ্যবাহী ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচলের সময় প্রায়ই আটকে পড়ে। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট, অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বাংলাবাজারের প্রবেশ মুখে সরু কালভার্টটিও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। জোড়াতালি দিয়ে পারাপারে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ অবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহী যানবাহনের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, এই সড়ক দিয়েই মূলত উপজেলার বাজার ও সীমান্ত এলাকার সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি ভাঙাচোরা অবস্থায় আছে। আমরা বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রতিদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়।
উস্তিঙ্গেরগাঁও গ্রামের শিক্ষার্থী জান্নাত আক্তাট লিজা বলেন, গর্তে ভর্তি রাস্তায় প্রতিদিন স্কুলে যেতে দেরি হয়। অনেক সময় পড়ে গিয়ে আহতও হতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়ক দ্রুত সংস্কার না হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা এলজিইডি অফিসার আব্দুল হামিদ বলেছেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। ইতোমধ্যে এই সড়কের ভাঙা ও গর্তগুলো ভরাটের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এডিপি’র বরাদ্দ হলেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের সাময়িক সংস্কার করেছে বাজার ব্যবসায়ীরা। আমরা স্থায়ীভাবে সংস্কার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি।