সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ স্থাপনা

আপলোড সময় : ০৫-০৯-২০২৫ ০৮:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৫-০৯-২০২৫ ০৮:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে টানা দুই দিনব্যাপী এ অভিযানে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে শান্তিগঞ্জের পাগলা বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা। অভিযানে হাইওয়ে পুলিশের সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, ছাতকের সওজ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহাদাত হোসাইন, জয়কলস হাইওয়ে থানার ওসি সুমন কুমার চৌধুরীসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বুধবার প্রথম দিনের অভিযানে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে ধারণবাজার, কৈতক ও জাউয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার দামোধরটুপী, পঞ্চগ্রাম, ডাবর পয়েন্ট হয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলে। জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সুনামগঞ্জ অংশে গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে পাগলা বাজার পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ জারি করে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে উচ্ছেদ অভিযানের শুরু হয়ে ধারণবাজার, চৌকা পয়েন্ট, কৈতক পয়েন্ট, জাউয়াবাজার, বড়কাপন বাজার হয়ে শনিবার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার পর্যন্ত এসে উচ্ছেদ কার্যক্রম সমাপ্তি হয়। অভিযানে মহাসড়কের পাশে গড়ে তোলা সহ¯্রাধিক দোকানপাট ও বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়। এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বুধবার ও বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জ বাজার, জাউয়াবাজার ও পাগলা বাজারসহ বেশ কিছু জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই অভিযান সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে। আমরা সতর্ক করছি, ভবিষ্যতে আবারও কেউ দখল করলে উচ্ছেদের পাশাপাশি জরিমানাও গুনতে হবে। স্থানীয়রা জানান, সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ছাতক থানাধীন গোবিন্দগঞ্জ ব্রিজের পূর্বপার থেকে ট্রাফিক পয়েন্ট পর্যন্ত উভয় পাশে কয়েক শত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। শুধু এখানে না, সড়কের বুড়াইরগাঁও, জালালপুর, ধারণবাজার, বুকারভাঙ্গা, চৌকা, কৈতক, জাউয়াবাজার, বড়কাপন পয়েন্ট পর্যন্ত ছাতক উপজেলা সীমান্তের সড়কের দুই পাশে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা সাধারণত এইসব স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে থাকেন। হাটবাজার ও পয়েন্টের বিভিন্ন মার্কেটের সামনের সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা প্রায় প্রতিবছর উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু উচ্ছেদের এক দুইদিন পর আবারও সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। এতে লাভবান হন মার্কেট মালিকরা। প্রতিটি মার্কেটের মালিকরা সরকারি জায়গায় ব্যবসায়ীদের বসিয়ে মাসে লাখ টাকারও বেশি অবৈধভাবে আয় করে থাকেন। ওইসব দোকানের কারণে পথচারীরা বিড়ম্বনায় পড়েন। সড়কে প্রায় সময় দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হয়। জানাযায়, অভিযানের আগে সওজ বিভাগ মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। অনেকেই স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরালেও অধিকাংশই উচ্ছেদের মুখে পড়ে। স্থানীয়দের আশা, এবার যেন আর নতুন করে সরকারি জায়গায় স্থাপনা গড়ে না ওঠে।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com