
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগও। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে গতকাল বৃহ¯পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এ ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, পুনরায় তদন্তের জন্য হাইকোর্টের যে পর্যবেক্ষণ ছিল, আপিল বিভাগ তা বাতিল করেছেন। অন্য এক মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মুফতি হান্নানকে এনে দ্বিতীয় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়বার জবানবন্দি আইনত গ্রহণযোগ্য না। আর এটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করা হয়নি। অন্যান্য আসামিরাও কেউ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেননি। হাইকোর্ট বিভাগের খালাসের রায় বহাল আছে। এখানে ন্যায়ের দ- আবার আপিল বিভাগ আবার উঁচু করলেন। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণে বলেছেন, স্বীকারোক্তিগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এগুলো সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। কারণ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে। যাদের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে তাদের সাক্ষ্য নেওয়ার আগে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়নি। বরং তাদের নেওয়া হয়েছিল টিএফআই সেলে। কোনো বিচারিক আদেশ ছাড়া। একদিনে একই ম্যাজিস্ট্রেট তিনজনের জবানবন্দি নিয়েছেন। যা আইনসিদ্ধ নয়।
শিশির মনির আরও বলেন, মুফতি হান্নানকে কনডেম সেল থেকে এনে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। আর ৩৪২ ধারায় তাকে পরীক্ষা করার আগেই তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। প্রমাণিত হয়েছে এই আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। যারা মারা গেছেন তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা আছে। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া কাউকে সাজা দেওয়া যায় না।
এছাড়া বিএনপির আইন বিষয়ক স¤পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে এই মামলায় জড়িত করেছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে তারেক রহমান নির্দোষ। পাশাপাশি এটাও প্রমাণিত হয়েছে আইভি রহমানসহ যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের বিচার শেখ হাসিনা চাননি।