
স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা নদী বালু মহালের ইজারাদার শাহজালাল কনস্ট্রাশনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে পূর্ববাংলাবাজার ইউনিয়নের হকনগর বাঁশতলা শহীদ মিনার এলাকায় রেস্ট হাউসে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও খাসিয়ামারা নদী বালু মহাল ইজারাদার হারুন অর রশিদ, ইজারাদার ও প্রবাসী মুর্শেদ আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাসিয়ামারা নদী বালু মহাল ইজারাদার ছাতকের ছদরুল আলম সোহান, দোয়ারাবাজার বোগলার জামাল উদ্দিন ও প্রবাসী রশিদ আহমদ, রোয়াব আলী, মনির মিয়া, আবু হানিফ, মোতালিব মিয়া, আনোয়ার হোসেন, নাসির মিয়া, শফিক মিয়া, আবিদ মিয়া প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে খাসিয়ামারা নদী বালু মহালের ইজারাদারগণ বলেন, আমরা চলতি বাংলা সনের পহেলা বৈশাখ থেকে এক বছর মেয়াদী খাসিয়ামারা নদী বালু মহাল ইজারা এনেছি। এখন খাসিয়ামারা নদী ভরাট হয়ে নাব্যতা হারিয়ে গেছে। তাই নদী নাব্যতা রক্ষা করতে হবে। এই জন্য নদী থেকে বালু উত্তোলন করা জরুরি প্রয়োজন।
তারা বলেন, এই খাসিয়ামারা নদীর বালু মহাল সৃষ্টি হওয়ায় হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। মানুষ প্রতিদিনের কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছে।
তারা বলেন, কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসক এই নদী পরিদর্শন করায় নদীর দুই তীরে স্থায়ী বেড়ি বাঁধ নির্মাণের জন্য সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেন। পাউবো এই বাঁধ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একই সাথে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। এটা এই এলাকার জনমানুষের উন্নয়ন।
তারা বলেন, কৃষিকাজ করার সুবিধার্থে পানি সংরক্ষণের জন্য রাবার ড্যামকে সংস্কার করে রাবার প্রতিস্থাপন করা হবে। এই জন্য রাবার ড্যাম নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
তারা বলেন, খাসিয়ামারা নদী ইজারা মানে বালু উত্তোলন করে নদীর নাব্যতা রক্ষা করা। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নদীর নাব্যতা রক্ষা করা হবে।
তারা আরও বলেন, নদীর নাব্যতা রক্ষায় বালু উত্তোলন হলে নদীর তীরের এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এটা এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন এবং প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। এই জন্য আমরা সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চাই।