দুর্গোৎসবে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়

আপলোড সময় : ২১-০৯-২০২৫ ০৭:১৯:৫৬ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২১-০৯-২০২৫ ০৭:২১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শহীদনূর আহমেদ::
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ সংশ্লিষ্টরা। পূজমন্ডেপে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি, স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবহার, কন্ট্রোলরুমর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং প্রয়োজনে জরুরি সেবা ৯৯৯ ব্যবহারের সুবিধাসহ পূজামন্ডপ এলাকা নিরাপদ রাখতে পুলিশ, আনসার মোতায়েনসহ রাখা হবে গোয়েন্দা নজরদারি।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ সাদাপোশাকে গোয়েন্দাদের থাকবে বাড়তি নজরদারি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জাকির হোসেন বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখ পুলিশ সতর্ক অবস্থানে। আমরা ইতোমধ্যে মন্ডপ সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেছি। তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আমরা আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শঙ্কা না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। আমরা চাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতে পারেন। এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নিরাপদে উৎসব উদযাপন করতে পারেন সেই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে মন্ডপ এলাকায় টহল জোরদার করা হবে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকার পূজামন্ডপে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে থাকবে বিজিবি।
সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, সুনামগঞ্জের সীমান্ত অঞ্চলে শূন্য থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২২টি পূজামন্ডপে পুলিশ ও আনসারবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার করবে। ইতোমধ্যে মন্ডপ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসবকে সামনে রেখে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এবার সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার ৪২৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের চেয়ে এবার ২৪টি পূজামন্ডপ বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানাগেছে, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ও সদর উপজেলা মিলে ৪৯টি মন্ডপ, ছাতক পৌরসভা ও উপজেলা মিলে ৩১টি, জগন্নাথপুর পৌরসভা ও উপজেলা মিলে ৪১টি, দিরাই পৌরসভা ও উপজেলা মিলে ৬৩টি, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ২১টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪৭টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২৭টি, শাল্লায় ২৬টি, তাহিরপুরে ২৭টি, দোয়ারাবাজারে ২০টি, ধর্মপাশা ২০টি এবং মধ্যনগর উপজেলায় ৩২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল বণিক বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সারা বছর এই দুর্গোৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এবার জেলায় মন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে দফায় দফায় সভা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আশা করি নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিমান কান্তি রায় বলেন, ইতোমধ্যে জেলার সকল পূজামন্ডপে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে প্রতিমা। আশা করি সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com