
শহীদনূর আহমেদ ::
সাত দিনের ব্যবধানে আবারো সিলেট বিভাগসহ সুনামগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টা ১৯ মিনিটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সুনামগঞ্জের ছাতকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যে এবং মাত্রা ছিল ৫.৯। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি একটি স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হলেও এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে ছাতকেই। ভূমিকম্পে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা গেছে। তবে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে সিলেটের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ ঝুঁকিতে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সুনামগঞ্জসহ বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চল ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এটি তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেট (ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মিজ প্লেট) এর সংযোগস্থলে অবস্থিত। যখন এই প্লেটগুলো সরে যায় বা একে অপরকে ধাক্কা দেয়, তখন ভূ-ত্বকের মাঝে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়। এই সঞ্চিত শক্তি যখন শিলার ধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে যায়, তখন তা বিদ্যমান বা নতুন ফাটলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে এবং ভূ-পৃষ্ঠে কম্পন সৃষ্টি করে, যা ভূমিকম্প নামে পরিচিত। এছাড়াও, এই অঞ্চলের ডাউকি ফল্ট এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বড় ভূমিকম্প না হওয়ায় সেখানে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পর মতো শক্তি জমা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। এদিকে সুনামগঞ্জ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জানাগেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সুনামগঞ্জ পৌর শহর, ছাতক, জগন্নাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যে সকল বহুতল ভবন নির্মাণসহ উঁচু অবকাঠামো করা হচ্ছে যেগুলোর বেশিরভাগই ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রার গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। এ অবস্থায় মাঝারি আকারের ভূমিম্প অনুভূত হলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি জনগণকে ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়াও জরুরি বলে জানান বিশ্লেষকরা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোহম্মাদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ঘন ঘন মৃদু মাত্রায় ভূমিকম্প হওয়া উদ্বেগজনক। এটি বড় কিছু হওয়ার আভাস দেয়। শীঘ্রই ভূমিক¤প বিষয়ক একটি সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হবে। ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউকের একটি নীতিমালা ফলো করা হয়। পৌরসভা ও উপজেলা শহরগুলোতে ভবন নির্মাণে ভূমিক¤প সহনশীল গাইডলাইন ফলো করার ব্যাপারে নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের দিয়ে মনিটরিং জোরদার করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে ভূমিক¤েপর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৭.৫ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিক¤েপর আশঙ্কা রয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান। মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকায় রয়েছে খুলনা, বরিশাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে ৭.৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিক¤প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিটি ছোট ভূমিকম্প আসলে ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে চাপ নির্গমনের ফলাফল। কিন্তু যদি এই চাপ ধীরে ধীরে জমতে থাকে এবং নিয়মিতভাবে মুক্ত না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। বারবার ছোট মাত্রার ভূমিকম্প ইঙ্গিত দেয় যে, টেকটোনিক প্লেটগুলোর মধ্যে চাপ জমছে। যদি এই চাপ ধীরে ধীরে মুক্ত না হয়, তবে এটি একটি বৃহৎ ভূমিক¤েপর পূর্বাভাস হতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, একাধিক ছোট ভূমিকম্প একটি বড় ভূমিকম্পের আগাম সংকেত হতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি একই অঞ্চলে বারবার ঘটে এবং ক¤পনের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
সাত দিনের ব্যবধানে আবারো সিলেট বিভাগসহ সুনামগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টা ১৯ মিনিটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সুনামগঞ্জের ছাতকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যে এবং মাত্রা ছিল ৫.৯। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি একটি স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হলেও এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে ছাতকেই। ভূমিকম্পে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা গেছে। তবে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে সিলেটের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ ঝুঁকিতে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সুনামগঞ্জসহ বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চল ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এটি তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেট (ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মিজ প্লেট) এর সংযোগস্থলে অবস্থিত। যখন এই প্লেটগুলো সরে যায় বা একে অপরকে ধাক্কা দেয়, তখন ভূ-ত্বকের মাঝে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়। এই সঞ্চিত শক্তি যখন শিলার ধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে যায়, তখন তা বিদ্যমান বা নতুন ফাটলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে এবং ভূ-পৃষ্ঠে কম্পন সৃষ্টি করে, যা ভূমিকম্প নামে পরিচিত। এছাড়াও, এই অঞ্চলের ডাউকি ফল্ট এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বড় ভূমিকম্প না হওয়ায় সেখানে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পর মতো শক্তি জমা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। এদিকে সুনামগঞ্জ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জানাগেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সুনামগঞ্জ পৌর শহর, ছাতক, জগন্নাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যে সকল বহুতল ভবন নির্মাণসহ উঁচু অবকাঠামো করা হচ্ছে যেগুলোর বেশিরভাগই ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রার গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। এ অবস্থায় মাঝারি আকারের ভূমিম্প অনুভূত হলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি জনগণকে ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়াও জরুরি বলে জানান বিশ্লেষকরা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোহম্মাদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ঘন ঘন মৃদু মাত্রায় ভূমিকম্প হওয়া উদ্বেগজনক। এটি বড় কিছু হওয়ার আভাস দেয়। শীঘ্রই ভূমিক¤প বিষয়ক একটি সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হবে। ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউকের একটি নীতিমালা ফলো করা হয়। পৌরসভা ও উপজেলা শহরগুলোতে ভবন নির্মাণে ভূমিক¤প সহনশীল গাইডলাইন ফলো করার ব্যাপারে নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের দিয়ে মনিটরিং জোরদার করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে ভূমিক¤েপর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৭.৫ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিক¤েপর আশঙ্কা রয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান। মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকায় রয়েছে খুলনা, বরিশাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে ৭.৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিক¤প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিটি ছোট ভূমিকম্প আসলে ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে চাপ নির্গমনের ফলাফল। কিন্তু যদি এই চাপ ধীরে ধীরে জমতে থাকে এবং নিয়মিতভাবে মুক্ত না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। বারবার ছোট মাত্রার ভূমিকম্প ইঙ্গিত দেয় যে, টেকটোনিক প্লেটগুলোর মধ্যে চাপ জমছে। যদি এই চাপ ধীরে ধীরে মুক্ত না হয়, তবে এটি একটি বৃহৎ ভূমিক¤েপর পূর্বাভাস হতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, একাধিক ছোট ভূমিকম্প একটি বড় ভূমিকম্পের আগাম সংকেত হতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি একই অঞ্চলে বারবার ঘটে এবং ক¤পনের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।