
স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জের সাচনা গ্রামে একের পর এক চুরির ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চুরির ঘটনায় জামালগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখনও চোর শনাক্ত কিংবা চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে সাচনা গ্রামের রামকৃষ্ণ মন্দির থেকে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। সম্প্রতি একই গ্রামের সাংবাদিক দেবব্রত ঘোষ চৌধুরীর বাড়ি, শিক্ষক নবগোপাল রায়ের বাড়ি, শিক্ষক প্রাণতোষ ঘোষ চৌধুরীর বাড়ি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অর্ধেন্দু ঘোষ চৌধুরীর বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। সর্বশেষ জামালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র দাশের বাড়িও বাদ যায়নি চোরের লক্ষবস্তু থেকে। এছাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ মন্দিরসংলগ্ন নিগমানন্দ সরস্বতী সংঘ মন্দির ও লোকনাথ সেবা সংঘের মন্দিরেও চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে সাচনা সাংবাদিক দেবব্রত ঘোষ চৌধুরীর বাড়িতে চুরির ঘটনায় পরদিন জামালগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর কয়েকদিন পরেই রামকৃষ্ণ মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালনা কমিটির সম্পাদক অনন্ত পাল বাদি হয়ে জামালগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
সাংবাদিক দেবব্রত ঘোষ চৌধুরী জানান, সবগুলো চুরির ঘটনায় চোরেরা প্রতিটি বাড়ির তালা ভেঙে প্রবেশ করে স্টিল ও কাঠের আলমারির তালা ভেঙে মূল্যবান জিনিসপত্র খুঁজে। চোরেরা মূলত স্বর্ণালঙ্কার ও কাসার বাসনপত্র চুরি করতেই এসব বাড়িতে ঢুকছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাচনা গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্র কুমার দাস বলেন, এ ধরনের ধারাবাহিক চুরির কারণে গ্রামে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
জামালগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তদন্তের জন্য সার্কেল স্যারসহ আমরা এ মুহূর্তে সাচনা যাচ্ছি। চুরির ঘটনা সবগুলোই একসুতোয় গাঁথা। আশা করি দ্রুতই ওই চোর সিন্ডিকেটকে আমরা চিহ্নিত করতে পারব।