সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গোলা ভরে ধান তুলে স্বস্তিতে কৃষক সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ভারত ও পাকিস্তান অত্যন্ত বিনয়ী মানুষ ছিল মুবিন শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১দফা দাবিতে স্মারকলিপি নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের শুনানি ১৩ মে ঈদে টানা ১০ দিন ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি, বেসরকারি অফিসও বন্ধ দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, বিএনপি দেখাল শক্তি-সমর্থন জুবাইদার ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান জামালগঞ্জ-জয়নগর সড়ক এক যুগেও সংস্কার হয়নি : দুর্ভোগে লাখো মানুষ মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে প্রতিবেশী খুন এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছেনা বাউল শাহ আবদুল তোয়াহেদের দোয়ারাবাজারের বেহাল সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি ৭ বছরেও শেষ হলো না সেতুর কাজ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৫ পরিবার নিঃস্ব কৃষি ব্যাংক রেমিট্যান্স উৎসব বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান কয়লা কোয়ারিতে মাটি চাপায় শ্রমিক নিহত ছুরিকাঘাতে শিশুকে হত্যা উন্নয়নকাজে অনিয়ম পেলে ঠিকাদার-প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : অতিরিক্ত সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি সমর্থকদের হামলা
নতুনপাড়ায় নির্মম হত্যাকান্ড

ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

  • আপলোড সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ০১:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ০১:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুনপাড়ায় মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে মো. আল-মুবিন (৫৫) নামের এক প্রতিবেশী খুন হয়েছেন - এটা শুধু একটি অপরাধের খবর নয়, বরং আমাদের সমাজের মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি। আল-মুবিন একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি হৃদয় বণিককে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাতলামি করতে দেখে বাধা দেন, যা ছিলো ন্যায্য, দায়িত্বশীল এবং সামাজিকভাবে প্রশংসনীয়। অথচ তার এই প্রতিবাদই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এই হত্যাকা- প্রমাণ করে, আজ প্রতিবাদ করা মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে গেছে - কারণ সমাজের একাংশ হয়ে উঠেছে সহিংস, বেপরোয়া এবং আইন-শৃঙ্খলা বর্জিত। ঘাতক হৃদয় বণিকের বিরুদ্ধে আগেই স্থানীয়দের অসন্তোষ ছিল- প্রতিদিনের মাদকসেবন, গালিগালাজ, নির্মাণাধীন ভবনে আসর বসানো, সবই জানতো এলাকাবাসী। তবু কেন তার বিরুদ্ধে আগে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? প্রশাসন এবং সমাজ উভয়ের দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এই ঘটনা কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আনে: ১. মাদকাসক্ত এক ব্যক্তি দিনের পর দিন কিভাবে এলাকায় এমন নির্লজ্জ আচরণ করতে পারে? ২. পরিবার, সমাজ এবং প্রশাসন - তিনটি স্তরের প্রতিরোধ কোথায় ছিল? ৩. একজন প্রতিবাদী নাগরিককে রক্ষা করতে না পারলে কীভাবে আমরা সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো? পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানে ঘাতককে আটকের ঘটনা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এই মামলায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে মাদকবিরোধী অভিযানকে শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি সমাজে যে রকম সহিংসতার বীজ বপন হচ্ছে - তা প্রতিরোধে স্থানীয় পর্যায়ে নাগরিক সচেতনতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা এবং পারিবারিক বন্ধন জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স