সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালগঞ্জে দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ ৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক

চোরাচালান বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ০৫-০৬-২০২৫ ১২:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৬-২০২৫ ১২:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন
চোরাচালান বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মধ্যনগর, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ সদর এবং ছাতক উপজেলার সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে ভারত থেকে গরু-মহিষসহ নানা অবৈধ পণ্য প্রবেশ করছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও ভারতে পাচার হচ্ছে মাছ, শুঁটকি, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য। সীমান্তবাসীদের বক্তব্য, এই অবৈধ কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও কার্যকর ব্যবস্থা অনুপস্থিত। সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে ৪৬৫টি গরু আটক করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই পরিমাণের বহু গুণ বেশি গরু সীমান্ত পেরিয়ে আসে এবং স্থানীয় হাটের অসাধু ইজারাদারদের সহায়তায় ‘হাসিল’ দিয়ে বৈধতা লাভ করে। ফলে একদিকে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এ চোরাচালান শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়েরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্তের যুবসমাজ এক শ্রেণির চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। অপরাধমূলক কর্মকা-ে সম্পৃক্ততা বাড়ছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো প্রতিরোধ দেখা যাচ্ছে না। সীমান্তের নিরাপত্তা বাহিনী বিজিবি অভিযানের কথা বললেও, স্থানীয়দের অভিযোগ- এই নজরদারি যথেষ্ট নয়। প্রশ্ন জাগে, কোথায় ব্যর্থতা? বিজিবি, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন - তিনটি স্তর থাকা সত্ত্বেও কীভাবে রাতের অন্ধকারে গরু ও পণ্য সীমান্ত পাড়ি দেয়? হাট ইজারাদারদের স্বেচ্ছাচারিতা বা দুর্নীতি কিভাবে চলে? আমরা মনে করি, চোরাচালান বন্ধে কেবল অভিযান নয়, প্রয়োজন সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত কৌশল, হাট ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে তথ্যভিত্তিক নজরদারি। পাশাপাশি, চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। এ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, রাজস্ব আদায়, স্থানীয় অর্থনীতি এবং যুব সমাজের ভবিষ্যৎ রক্ষায় চোরাচালান প্রতিরোধ কোনো বিকল্প নয়। সরকারকে এই বিষয়ে দৃঢ়, টেকসই ও শূন্য-সহিষ্ণু নীতি গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ধীরে ধীরে অপরাধপ্রবণ অঞ্চলে পরিণত হবে - যার খেসারত দিতে হবে পুরো জাতিকে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স